দুচোখের ঘুমগুলো ইদানিং বড্ড বেশি যন্ত্রণা দেয় কিছু গ্যাছে সেচ্ছা-নির্বাসনে আর বাকিরা দীর্ঘদিনের ছুটিতে এখন অলস-নিস্ক্রিয়।
মধ্যরাতে জানালা ভেদ করে আসে খ্যাপাটে দক্ষিণী হাওয়া টেবিলের উপর সযত্নে খুলে রাখা মুখোশটা উল্টে পরে আবর্জনার বাক্সে। আগে বুঝিনি অনিলের সাথে আমার এত আজন্মের শত্রুতা!
ভেসে-ভেসে আসে কিছু চিরচেনা, মিষ্টি- মৃদু ঘ্রাণ বহুদিন অবহেলায় বন্ধ হয়ে থাকা গন্ধনালীটা সহসা খুলে যায় তার কুঠুরি; ভেদ করে চলে যায় কিছু পরিমল বাতাবরণ ফুসফুসের প্রতিটি রন্ধ্র, প্রকোষ্ঠ ভরে ওঠে প্রাচুর্যপূর্ণ- উত্তাল জোয়ারে।
তারপর- তীব্র খোশবয় লাল সারাবের অর্ঘ্য চলে অন্তরতম অঁচল মন্দিরে। সেখানে আজ শুধুই শুন্য- কঠিনা দেবীর রাজত্ব!
হৃদয় সিংহাসনে খঁচিত অযুত-কোটি তরবারি ! একটু ফুসরত মিললেই “শুন্য দেবী” শানিয়ে নিচ্ছে প্রিয় হাতিয়ারগুলি ভয়ংকর কোন রণ বিজয়ের প্রস্তুতি চলছে যেন উফফ... অবর্ণনীয় যন্ত্রণা! যেন পাটাতনের উপর নিয়ত টুকরো করে চলা এক মাংসপিণ্ড।
আর তুমি- এতক্ষণে মেকআপের খোলস ছেড়ে তোমার তুমি হয়েছ নিশ্চয়ই? তন্দ্রাগুলো এখন’বধি দুঃসাহস করে উঠতে পারেনি জানি কি! ভোররাতে কার্নিশ ধরে চেয়ে থাকা দূরের সোডিয়াম আলোয়? নাকি রবীন্দ্রনাথ আথবা বিরহের কবিতা?
তবে “মেঘকন্যা” একটা ব্যাপার লক্ষ করেছ কিনা জানিনা দিনের আলোয় যখন মুখোশ আর মেকআপ নিয়ে থাকি তখন বেমালুম ভুলে যাই আমাদের সৃষ্টি প্রতিরোধ যে আক্ষরিক অর্থেই বালির বাঁধ।
নিয়ত লড়াই করতে করতে আজ আমি বড়ই ক্লান্ত কিছুটা প্রানশক্তি বাকি থাকলেও; গোলা-বারুদের মজুদ প্রায় হল বলে মাঝেমাঝে ভাবি– এত সাম্প্রদায়িকতা, এত আচার- নিষ্ঠা না থাকলেই বোধহয় ভালো হত সম্মুখে সত্য বলার সাহস যার নেই, পিঠ পিছনে ছুরি চালানোই তো তাদের পেশা।
একি! এখনো ঘুমোতে যায়নি বলে কার্নিশ ধরে চড়াইটা; রীতিমতো বকা দিয়ে যাচ্ছে! তবে শেষ নিকোটিনটা হত্যা করেই মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছি নিদ্রা দেবীর।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
তবে শেষ নিকোটিনটা হত্যা করেই
মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছি নিদ্রা দেবীর। অসাধারণ পরিসমাপ্তি...শব্ধের জাদুতে স্বপ্নিল বুনন...খুব খুব ভালো লাগলো..."গোলা-বারুদের মজুদ প্রায় (শেষ) হল বলে....এখানে (শেষ) কথাটা হবে কি না ভেবে দেখবেন প্লিজ....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।